
মরুভূমির ফল সাম্মাম-
বাজার থেকে যেই ফল ও সবজি কিনে খাচ্ছেন তা কি নিরাপদ? বর্তমানে ফল ফসল আবাদে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এতে করে দিন দিন আমরা দূর্বল ও রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছি। একটি ছোট্ট উদ্যোগ নিলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এক খন্ড উচু বা মাঝারী উচু জমিতে সবজি ও ফল উৎপাদন করে সারা বছর নিরাপদ ও পুষ্টিকর ফসল গ্রহন করতে পারি। লাগবে না কোনো কীটনাশক। শুধুমাত্র প্রাকৃতিক চাষ ফর্মূলা দিয়ে স্বল্প খরচে চাষ করা সম্ভব। এই ফর্মূলা আমাদের থেকে শিখতে পারবেন।




সাম্মাম চাষের সময়?
সাম্মাম সাধারনতঃ একটি গ্রীষ্মকালীন ফসল। তবে হাইব্রিড জাতের সাম্মাম প্রায় প্রতি ঋতুতে চাষ করা সম্ভব। ভালো জাতের বীজ বাছাই করতে হবে এবং সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।
সাম্মাম ফলের বৈশিষ্ট্য?
সাম্মাম ফল একটি মরু অঞ্চলের ফসল। এটি তরমুজ জাতীয় ফসল এবং ভেতরের অংশ বাঙ্গির মত। একটি ফল ১.৫ কেজি - ৩.০ কেজি ওজন হয়। ফলের বাইরের আবরণ গাঁড় বাদামী ও ভেতরের রঙ কমলা।
১টি গাছে কয়টি ফল হয়?
একটি গাছে অনেকগুলো ফল ধরে তবে প্রতি গাছে ২টি ফল রেখে বাকিগুলো ফেলে দিতে হয়। এতে ফলের সাইজ বড় ও বাজারে চাহিদা বেশী থাকে।
ফসল সংগ্রহ?
সাম্মাম ফল একটি মরু অঞ্চলের ফসল। তরমুজ, শসা বা বাঙ্গি চাষের মতই এটি চাষ করা যায়। বীজ থেকে চারা করে ৯-১০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। রোপনের পর ৫০-৬০ দিনের মধ্যে ফল পরিপক্ক হয়। তবে আবহাওয়া, মাটি ও পরিচর্যার কারনে সময় কিছু কম বেশি হতে পারে।
ব্যবহার পদ্ধতি?
সাম্মাম ফল গাছে পরিপক্ক হলে সংগ্রহ করতে হবে। না হলে ভালো স্বাদ পাওয়া যাবে না। কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। তবে পাকা ফল হিসেবে এটি ব্যবহার হয়। এটি বেশ রসালো ও মিষ্টি হয়। পাকা ফল ব্লেন্ডারে জুস করেও খাওয়া যায়। বাড়িতে ফ্রিজ থাকলে একদিন ফ্রিজে রেখে দিলে মিষ্টতা ও স্বাদ অনেক বেড়ে যায়।
আমাদের সার্ভিস?
আপনি যদি আমাদের থেকে পণ্য (বীজ) অর্ডার করন, তাহলে পরবর্তী সাপোর্ট পাবেন এবং আমাদের জৈব চাষী স্পেশাল গ্রুপে আপনাকে যুক্ত করা হবে। এতে করে অন্যরা কিভাবে চাষ করছেন? কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে? পরিচর্যা? কোন ঋতুতে কি কি ফসল চাষ করা যায়? বিভিন্ন জাতের বীজ পরিচিতি? জৈব ও প্রাকৃতিক চাষের নিয়মাবলী? ইত্যাদি বিষয়ে জানতে ও শিখতে পারবেন।